চন্দনাইশ উপজেলায় শয়নকক্ষ থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৈলতলী ঘাটঘর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। গৃহবধূর নাম রহিমা বেগম (৩০)। তিনি ঘাটঘর এলাকার মো. জমির উদ্দীনের (৪০) স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলা হলেও রহিমা বেগমের হাঁটু বাঁকা অবস্থায় দেখে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
রহিমার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
রহিমা বেগমের স্বামী জমির উদ্দীন বৈলতলী ইউনিয়ন এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাঠ ব্যবসায়ী। তিনি ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। ২০১০ সালে জমিরের সাথে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ৩ সন্তান রয়েছে। তারা হচ্ছে তারেক (১১), তারিন (৭) ও নিশা (৩)। রহিমা বেগমের ভাই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, রহিমাকে হত্যা করে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা পরিকল্পিত হত্যা। এই ঘটনায় মামলা করা হবে।
চন্দনাইশ থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Recent Comments